empty
 
 
27.01.2025 07:55 AM
২৭ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য একে অপরের মুভমেন্ট ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত করছে, এবং উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন বিকাশ লাভ করছে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার প্রকাশিত প্রায় সব প্রতিবেদনের ফলাফলই ব্রিটিশ পাউন্ডকে সমর্থন করেছে। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকটি অবশেষে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, যেখানে মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যকলাপে মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। তদ্ব্যতীত, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তবে, এখনই ডলারের প্রভাব সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করার সময় আসেনি। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি শুধুমাত্র একটি কারেকশন। দ্বিতীয়ত, আগামী সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক এবং তার পরের সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তৃতীয়ত, ডলারের মূল্যের সাম্প্রতিক দুর্বলতা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্বব্যাপী তার সম্ভাব্য অনিশ্চিত কর্মকাণ্ড নিয়ে ট্রেডারদের উদ্বেগের প্রভাবে হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, গত পাঁচ দিনে পরিস্থিতির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। দৈনিক টাইমফ্রেমে, এটি স্পষ্ট যে চার মাস ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনে, নতুন ট্রেডাররা 1.2372–1.2387 রেঞ্জ থেকে বাউন্স করার পরে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই মুভমেন্টের পরে 1.2445 লেভেলের একটি টেস্ট হয়, যেখানে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়। যদিও এই সিগন্যালটি থেকে লাভ করা যায়নি, তবে এটি লোকসানেরও কারণ হয়নি। 1.2445 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত শেষ বাই সিগন্যাল ট্রেডারদের কিছুটা মুনাফা এনে দিতে সক্ষম হয়েছে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্প-মেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মাঝারি মেয়াদে, আমরা 1.1800 এর লক্ষ্যমাত্রায় পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমরা মনে করি এটি সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি। ফলস্বরূপ, আমাদের শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা উচিত, যেখানে বর্তমান কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণ করতে ট্রেন্ডলাইন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী রিট্রেসমেন্ট শুরু হতে পারে, কারণ মূল্য 1.2502 এবং 1.2508 এর এরিয়া ব্রেক করতে পারেনি।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723 এবং 1.2791-1.2798। সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.