empty
 
 
15.01.2025 07:09 AM
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ১৫ জানুয়ারি: পাউন্ডের মূল্য রিবাউন্ড করতে সংগ্রাম করছে

GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত মূল্য আবার নিম্নমুখী হয়। দর বৃদ্ধির সময় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য প্রথম গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলকেও অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়। 1.2237–1.2255 জোন থেকে দুটি রিজেকশন আরও দরপতনের দিকে নিয়ে যায়। যেখানে ইউরোর মূল্য দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে বৃদ্ধির সম্ভাবনার কিছু ক্ষীণ সংকেত দেখাচ্ছে, সেখানে পাউন্ডের মূল্য সেই ধরনের কোনো মুভমেন্টও দেখাতে পারেনি।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। মার্কেটের ট্রেডাররা কোনো বাহ্যিক কারণ ছাড়াই আগ্রাসীভাবে ব্রিটিশ কারেন্সি বিক্রি করছে। এর পাশাপাশি, গত কয়েক দিনে যুক্তরাজ্যের বন্ড ইয়িল্ডের তীব্র বৃদ্ধি ব্রিটিশ অর্থনীতির সম্ভাব্য সংকটের বিষয়ে পুনরায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ, পাউন্ড আরও একবার অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেয়েছে এবং এটির মূল্য আরও কমেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হয়েছে, তবে এটি আজকের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তেমন কোনো আগ্রহ সৃষ্টি করেনি। যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী বার্ষিক ভিত্তিতে ২.৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, তবে ২০২৫ সালে ফেডারেল রিজার্ভের দুইবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা আরও কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন ডলারের মূল্য স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে।

গতকালের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো দুর্বল ছিল। 1.2215 এবং 1.2269 লেভেলগুলো পুনর্মূল্যায়নের পর, 1.2215 এর নিকটবর্তী প্রথম দুটি সিগন্যাল ভুল প্রমাণিত হয়েছিল, যা সম্ভবত ট্রেডারদের লোকসানের কারণ হয়েছে। তৃতীয় সিগন্যালটি অনেক ভালো ছিল, তবে সেই সময়ে এটি অনুসরণ করা আর উপযুক্ত ছিল না। দুর্ভাগ্যক্রমে, মঙ্গলবার ট্রেডিংয়ের জন্য একটি প্রতিকূল দিন ছিল, তবে ফরেক্স ট্রেডিংয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি অনিবার্য। আজ মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটাই আটলান্টিকের ওপার থেকে আসা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।

COT রিপোর্ট

This image is no longer relevant

সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাউন্ড স্টার্লিং নিয়ে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে, প্রায়শই একে অপরকে অতিক্রম করে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। বর্তমানে, এই লাইনগুলো কাছাকাছি রয়েছে, যা লং এবং শর্ট পজিশনের প্রায় সমান সংখ্যা নির্দেশ করে।

সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, মূল্য প্রথমে 1.3154 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায় এবং পরবর্তীতে আরও নিচে নেমে ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ফেলে। এই ব্রেক এই ইঙ্গিত দেয় যে, দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 1,600 বাই কন্ট্রাক্ট এবং 100 সেল কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে, যার ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 1,500 কন্ট্রাক্টের বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে না।

মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড ক্রয়ের জন্য কোনো যৌক্তিকতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরিবর্তে, পাউন্ড নতুন করে বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে, নেট পজিশনের সংখ্যা আরও হ্রাস পেতে পারে, যা পাউন্ডের চাহিদার আরও হ্রাস নির্দেশ করে।

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ

This image is no longer relevant

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে, কারণ সর্বশেষ কারেকটিভ মুভমেন্ট দ্রুতই শেষ হয়েছে। মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য এখনও কোনো শক্তিশালী কারণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি প্রতিটি সপ্তাহেই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এবং মধ্যমেয়াদে আমরা ব্রিটিশ কারেন্সির আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি।

১৫ জানুয়ারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2052, 1.2109, 1.2237–1.2255, 1.2349, 1.2429–1.2445, 1.2511, 1.2605–1.2620, 1.2691–1.2701, 1.2796–1.2816, এবং 1.2863। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি (1.2461) এবং কিজুন-সেন (1.2274) লেভেলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ২০ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস অর্ডার সেট করা উচিত, যাতে ভুল সিগন্যালের কারণে সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।

আজ ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও ব্রিটিশ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। দিনের শুরুর দিকে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।

চার্টের সূচকসমূহের বর্ণনা:

  • মূল্যের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হচ্ছে গাঢ় লাল লাইন, যার কাছাকাছি মুভমেন্ট শেষ হতে পারে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে না।
  • কিজুন-সেন এবং সেনকৌ স্প্যান বি লাইন হল ইচিমোকু সূচকের লাইন, যা 4-ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার চার্টে সরানো হয়েছে। এগুলো শক্তিশালী লাইন।
  • এক্সট্রিম লেভেল হল হালকা লাল লাইন যেখান থেকে মূল্য আগে বাউন্স করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে।
  • হলুদ লাইন হল ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্য কোন প্রযুক্তিগত নিদর্শন।
  • COT চার্টে সূচক 1 প্রতিটি শ্রেণীর ট্রেডারদের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।
এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.