empty
 
 
10.01.2025 07:24 AM
GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১০ জানুয়ারি - আরেকটি দিন, ব্রিটিশ পাউন্ডের আরেকটি দরপতন

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। গতকাল যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছিল, বুধবার পাউন্ডের দরপতনের পেছনে স্থানীয় পর্যায়ে কোন কারণ ছিল না। তবে, মধ্যমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে, এই দরপতনের জন্য যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান। পুরো 2024 সাল জুড়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছি, যা নির্দেশ করেছিল যে পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পাবে, বিশেষত এটির মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পর। এমন পরিস্থিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থায়ী হতে পারে না, এবং এখন, চতুর্থ মাস ধরে আমরা পাউন্ডের দরপতন প্রত্যক্ষ করছি।

গতকাল যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল, এবং ইউরো সারাদিন সাইডওয়েজ প্রবণতায় ট্রেড করেছে, যা পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম। এই দরপতন ঘটছে কারণ মার্কেটের বড় প্লেয়াররা অব্যাহতভাবে ব্রিটিশ কারেন্সি বিক্রি করছে। কেন তারা পাউন্ড বিক্রি করবে না? পাউন্ডের দরপতনের বৈশ্বিক কারণগুলো ইউরোর ওপর প্রভাব ফেলছে। এটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনা ট্রাম্পের জয়, নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত, সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ, বা ভিনগ্রহবাসীর আক্রমণ নিয়ে নয়; বরং এটি বেশ সহজ একটি বিষয়। মার্কেটের ট্রেডাররা ভবিষ্যতের ইভেন্টগুলো আগেভাগেই মূল্যায়ন করার চেষ্টা করে, যাতে তারা সর্বাধিক মুনাফা করতে পারে। এই প্রক্রিয়াই মূল্যের পূর্বাভাস নির্ধারণ করে, যা কেবলমাত্র ঘটে যাওয়া মুভমেন্টগুলোর ব্যাখ্যা করার চেয়ে অনেক আলাদা। অতীতের মুভমেন্টের ব্যাখ্যা যেকেউ দিতে পারে, কিন্তু কেবলমাত্র অল্প কিছু দক্ষ ট্রেডার ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস দিতে পারে।

যৌক্তিকভাবেই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, এবং সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করি না যে পাউন্ডের মূল্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে $1.1850 এর লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। বরং, নিম্নমুখী মুভমেন্ট দীর্ঘায়িত এবং চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সাপ্তাহিক চার্ট থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে এই পেয়ারের দরপতনের গতি খুব দ্রুত বা আকস্মিক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে আমরা কী আশা করতে পারি, যখন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে স্থবির অবস্থায় রয়েছে? ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সবেমাত্র মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার কমানোর আশা করা হচ্ছে। এদিকে, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রধানত ফেডের নীতিমালার নমনীয়করণের মূল্যায়নের দিকে মনোনিবেশ করছে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পদক্ষেপগুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করছে।

বর্তমানে, ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এমন কোনো কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদি ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন, তবে এটি ডলারকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক এবং ধীর পন্থা নিতে বাধ্য করবে। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এই পথ অনুসরণ করতে পারে, কারণ তাদের নিজ নিজ দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। তবে, মার্কেটের ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো ফেড এবং এর আর্থিক নীতিমালার ওপর কেন্দ্রীভূত রয়েছে। এর ফলে, ডলার $1.1850 লেভেলেরও নিচে শক্তিশালী হতে পারে। আপাতত, আমরা অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ, কারণ এই পর্যায়ে মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দেওয়া সময়োপযোগী নয়।

This image is no longer relevant

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা হচ্ছে 120 পিপস, যা "উচ্চ" হিসেবে বিবেচিত। শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, আমরা আশা করছি এই পেয়ারের মূল্য 1.2187 এবং 1.2427 এর রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল বর্তমানে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI সূচকটি আবারও ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে; তবে, নিম্নমুখী প্রবণতা চলাকালীন সময়ে যেকোনো ওভারসল্ড স্ট্যাটাস সাধারণত শুধুমাত্র একটি কারেকশনের সংকেত দেয়। এছাড়াও, এই সূচকে পরিলক্ষিত বুলিশ ডাইভারজেন্স নির্দেশ করে যে ইতিমধ্যেই একটি কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1 – 1.2207
  • S2 – 1.2085
  • S3 – 1.1963

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1 – 1.2329
  • R2 – 1.2451
  • R3 – 1.2573

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

বর্তমানে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। আমরা লং পজিশন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ আমরা মনে করি ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এমন সকল কারণ ইতোমধ্যেই মার্কেটে একাধিকবার বিবেচিত হয়েছে, এবং নতুন কোনো অনুঘটক নেই। যারা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে উঠে গেলে 1.2573 এবং 1.2695 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, সেল অর্ডারগুলো বেশি প্রাসঙ্গিক, যার লক্ষ্যমাত্রা 1.2207 এবং 1.2187 এর লেভেল।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.